সফিউল আলম সফিঃ আক্কেলপুর (জয়পুরহাট)
আক্কেলপুর উপজেলার কৃষকরা লোকশানের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে আগাম আলুচাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মৌসুমে বাজারে অনিয়ন্ত্রিত বীজ সহ সকল কৃষি উপকরণের দাম।
সরজমিনে মাঠে গিয়ে যে সমস্থ কৃষক আগাম আলূ রোপন করতে সময় পার করছেন তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর আগাম আলু চাষের একই মৌসুমে ক্ষেতে আলু রোপন করতে গড়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে একই পরিমান জমিতে আলুরোপন করতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের আউয়ালগাড়ি গ্রামের আগাম আলুচাষি আলহাজ দেলাওয়ার হোসেন, শাহজালাল, আউয়ুব হোসেন, দুলাল হোসেন, আব্দুল লতিফ। রোয়ার গ্রামের আবু কালাম, হাসনাতুজ্জামান শাহিন। পৌর এলাকারশান্তা গ্রামের রুবেল সরদার, আব্দুল মোত্তালেব, নাঈম সরদান, আলাউদ্দিনসহ অনেক আলূ চাষি।
আলু চাষিরা আক্ষেপ করে বলেছেন, আমরা মৌসুমে যে আলু ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা মন বিক্রী করেছি। সে একই আলু বাজার নিয়ন্ত্রকগণ কৌশলে আমাদের কাছেই সেই আলু. উন্নত জাত ও মান সম্পুর্ন বীজ হিসেবে আখ্যাদিয়ে আমাদের কাছেই বিক্রী করছেন সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা মনদরে। বাজারে বীজের বাজার দর নিয়ন্ত্রন করেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তাদের কবল থেকে নিস্কৃতি বা রেহাই আমরা কৃষকরা পাই না। এ জন্য কৃষকদের শঙ্কা মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর দাম গত মৌসুমের মত হলে আমাদেরকে বড় পরিমান লোকশানের মধ্যে পড়তে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, চলতি রবি মৌসুমে আক্কেলপুর উপজেলার একটি পৌর সভা ও ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার ৮’শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নিদ্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম হিসেবে প্রায় ৭’শ হেক্টর ও নাবিলা জাতের ৫হাজার ১’শ ৫০ হেকটর জমিতে আলু রোপন করা হবে।
আগাম আলু রোপনের পরিমানের বিষয় নিয়ে দ্বিমত করেছেন অনেক কৃষক। কৃষদের দাবী চলতি মৌসুমে প্রায ১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপন ছাড়িয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে।
Leave a Reply